সাংবাদিক কল্যাণ সাহার ছেলে কৌশিক সাহার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন
স্পেশাল করেসপনডেন্ট, মানিকগঞ্জ :
চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র যুগ্ম বার্তা সম্পাদক প্রথিতযশা সাংবাদিক কল্যাণ সাহার ছোট ছেলে কৌশিক সাহা যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে টেক্সটাইল টেকনোলজি ম্যানেজমেন্টে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
শনিবার জমকালো আয়োজনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কৃতি সন্তান কৌশিক সাহার ডক্টরেট ডিগ্রি অনুমোদন করা হয়। এর আগে, গত বছরের ২৮শে এপ্রিল ডিফেন্স শেষে কৌশিক সাহার ডক্টরেট ডিগ্রি ঘোষণা করা হয়। পিএইচডিতে তার সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৪।
নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. লিসা চ্যাপম্যানের অধীনে পিএইচডি সম্পন্ন করেন ডক্টর কৌশিক সাহা। ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন তিনি। মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার টেপড়ার একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষাজীবন শুরু করেন ড. কৌশিক। পরে শিবালয় কেন্দ্রীয় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন এবং বৃত্তি পরীক্ষায় মেধাবৃত্তি লাভ করেন।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে তিনি ভর্তি হন শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে মাধ্যমিক বৃত্তি পরীক্ষায়ও মেধাবৃত্তি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি জুনিয়র ও মাধ্যমিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সাবেক ভিপি ও দেশের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ‘প্রফেসর মাহফুজা খানম ও ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বৃত্তি’ পান। এরপর ২০০৭ সালে তিনি শিবালয় সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন। ২০০৯ সালে রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে জিপিএ ফাইভ পেয়ে এইচএসসি পাশ করেন তিনি।
ড. কৌশিক ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল-বুটেক্স থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ঢাকায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর টেক্সটাইল বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। সেখান থেকে ২০১৭ সালে পূর্ণ বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যান। ২০১৯ সালে কৌশিক সাহা অ্যাপারেল অ্যান্ড টেক্সটাইলসে মাস্টার অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা গ্রামের কৃতি সন্তান সাংবাদিক কল্যাণ সাহা ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা সাহার ছোট ছেলে ড. কৌশিক সাহা। তার বাবা চ্যানেল আইয়ের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য।
ড. কৌশিক সাহা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এপসন আমেরিকার সদর দপ্তরে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার প্রাপ্তির পেছনে তার মাসহ আরও যাদের অবদান সবার প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
জেপি/নি-৬/এমএইচ
